টানা বৃষ্টিতে ক্ষতি কাঁচা বাড়িতে , ফসলেও ক্ষতির আশঙ্কা বিস্তৃত এলাকায়

31st July 2021 10:22 am বাঁকুড়া
টানা বৃষ্টিতে ক্ষতি কাঁচা বাড়িতে , ফসলেও ক্ষতির আশঙ্কা বিস্তৃত এলাকায়


তৌসিফ আহমেদ ( ইন্দাস ) :  লাগাতার বৃষ্টিতে বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। রাস্তা ছাপিয়ে জল ঢুকে পড়েছে বসতবাড়িতে। যেসব এলাকায় জল ঢুকে পড়েছে সেইসব পরিবারের সদস্যদের বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র  রাখার এবং খাবার ব্যবস্থা করেছেন ইন্দাস ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমরুল গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব ।  অতি বৃষ্টির ফলে কুমরুল গ্রামের বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি ভেঙে পড়েছে, গ্রামে ঢোকার মূল রাস্তার উপর জল জমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।  অপরদিকে যে সমস্ত জমিগুলোতে ধান রোপন করা হয়েছিল জলের তোড়ে ভেসে গেছে সেই সমস্ত জমির ধানের চারা গাছ । এমত অবস্থায় কি করবেন ভেবে পাচ্ছেননা ওই গ্রামের মানুষেরা । কুমরুল গ্রাম তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা অতিবৃষ্টির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ।  যে সমস্ত মানুষদের বাড়ি ভেঙে পড়ার ফলে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছিল তাদের খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে ইতিমধ্যেই । 
এ বিষয়ে ইন্দাস দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বলেন আমাদের অঞ্চলের পক্ষ থেকে যে রিলিফ টিম রয়েছে তারা প্রতিনিয়ত এলাকায় গিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে এবং যে সমস্ত মানুষেরা অতিবৃষ্টির ফলে আটকে পড়েছেন তাদের উদ্ধার করে সুরক্ষিত স্থানে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন । আমিও ঐ সমস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছি, প্রয়োজনে আমরা অঞ্চলের পক্ষ থেকে ত্রিপল দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি । 

অপরদিকে কুমরুল গ্রামের তৃণমূল নেতৃত্ব সেখ শাহজাহান বলেন আমাদের গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করেন ।  অতিবৃষ্টির ফলে ঘরবাড়ি সহ চাষের জমি জলমগ্ন । এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন পরিবার তাই প্রশাসনের কাছে আর্জি জানাই যাতে ঐ সমস্ত পরিবারের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন । 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।